Bashundhara Cement Workshop For Masons

প্রান্তিক পর্যায়ে মাঠে কাজ করা রাজমিস্ত্রিদের কাজের দক্ষতা, কর্মক্ষেত্রে সাবধানতা ও সচেতনতা বাড়াতে স্থাপনা গড়ার এই কারিগরদের জন্য নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী ‘বসুন্ধরা গ্রুপে’র বসুন্ধরা সিমেন্ট। সেই  উদ্যোগের একটি অংশ হিসেবে শনিবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আশুলিয়ার ইপিজেডের বাটলার্স থাই অ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টে ‘শৈল্পিক নির্মাণ, রাজমিস্ত্রির অবদান’ নামে এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

এ কর্মশালায় শতাধিক স্থানীয় ঠিকাদার ও রাজমিস্ত্রি অংশ নেন। তাদের কর্মক্ষেত্রে সচেতনতা বাড়াতে আলোচনা ও ভিডিওচিত্র তুলে ধরা হয় এবং তাদের পুরস্কার দেওয়া হয়।

এসময় অংশগ্রহণকারী রাজমিস্ত্রিরা বসুন্ধরা সিমেন্ট ব্যবহার করে তাদের কাজের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও তাদের নির্ভরতার কথা উল্লেখ করে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

অনুষ্ঠানে স্থাপনা নির্মাণ কৌশল এবং নির্মাণ সংক্রান্ত বিভিন্ন পরামর্শ উপস্থাপন করেন আশুলিয়া ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড কনসালটিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. রবিউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. সিদ্দিকুর রহমান। এসময় তারা নির্মাণ কাজে দক্ষ কর্মীর ভূমিকা এবং উন্নতমানের সিমেন্ট ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে আলোকপাত করেন। এছাড়াও গুণগত মান বজায় রেখে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে বসুন্ধরা সিমেন্টের অবদান প্রসঙ্গে তারা ভূয়সী প্রশংসা করেন।

আশুলিয়া ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড কনসালটিং অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আজ একটি বিষয়ে আমার ভালো লেগেছে যে- এই রাজমিস্ত্রিদের নিয়ে অনুষ্ঠান করেছেন। অনেক কোম্পানি রাজমিস্ত্রিদের গুরুত্ব দেয় না। কিন্তু বসুন্ধরা গ্রুপ রাজমিস্ত্রিদের নিয়ে কর্মশালা করছে, রাজমিস্ত্রিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এটা দরকার ছিল। আরও সামনে রাজমিস্ত্রিদের নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করুক এটাই আমার প্রত্যাশা। বসুন্ধরা সিমেন্টের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি৷

বসুন্ধরা সিমেন্টের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন- বসুন্ধরা সিমেন্টের ইস্ট জোনের এজিএম (সেলস) মো. জিয়ারুল ইসলাম, বসুন্ধরা সিমেন্টের ডিভিশনাল ম্যানেজার মো. মুক্তার আলীসহ কর্মকর্তারা।

এসময় বসুন্ধরা সিমেন্টের ইস্ট জোনের এজিএম (সেলস) মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ভবন নির্মাণে যেমন ইট, বালু, পাথর, সিমেন্ট প্রয়োজন তেমনি নির্মাণকাজের গুণগত মান ঠিক রাখার জন্য প্রশিক্ষিত রাজমিস্ত্রি প্রয়োজন। রাজমিস্ত্রিদের শ্রমের বিনিময়ে দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে। অথচ তারা সবসময় অবহেলিত থাকে। রাজমিস্ত্রিদের প্রশিক্ষিত করার জন্য বসুন্ধরা সিমেন্ট বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কর্মক্ষেত্রে কোনো রাজমিস্ত্রি যদি হতাহত হন তাহলে তাদের চিকিৎসার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপ সবসময় পাশে থাকবে। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বসুন্ধরা সিমেন্ট তৈরি হয়, যা বাংলাদেশি ব্র্যান্ড। যেখানে হাজারো বেকার লোকের কর্মসংস্থান হচ্ছে। অনুষ্ঠানে র‌্যাফেল ড্রয়ের মাধ্যমে ১০ জন রাজমিস্ত্রিকে পুরস্কৃত করা হয়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাভার এলাকার অন্যতম প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী, মেসার্স আমিন ট্রেডিং করপোরেশনের কর্ণধার হাজী এম এম আমিনুল ইসলামসহ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশের সবচেয়ে আইকনিক প্রকল্প পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্প, পদ্মা সেতু নদী শাসন প্রকল্প, পদ্মা সেতুর অ্যাপ্রোচ রোড, মেট্রোরেল প্রকল্প, ফাস্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতু প্রকল্প, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্প, পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্প, পায়রা সেতু প্রকল্প, কালনা সেতু প্রকল্প, সাসেক রোড প্রকল্প, ভুলতা ফ্লাইওভার প্রকল্প, কালশী ফ্লাইওভার প্রকল্প, রূপসা রেল সেতু প্রকল্প, রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের মত বড় প্রকল্পে ব্যবহৃত হচ্ছে বসুন্ধরা সিমেন্ট।

Source: news24bd