Bashundhara Cement For Construction Of Dhaka-Ashulia Expressway
ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে ব্যবহার করা হবে বসুন্ধরা সিমেন্ট। গতকাল এ বিষয়ে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীর এবং চায়না দ্য ফিফথ মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কম্পানির পক্ষে প্রজেক্ট ম্যানেজার শিন গুয়ানগুই। ছবি : কালের কণ্ঠ
ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শুরু করে সাভারের আশুলিয়া ইপিজেড পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ব্যবহার করা হবে উন্নত মানের ক্লিংকারে উৎপাদিত বসুন্ধরা সিমেন্ট।
বসুন্ধরা সিমেন্ট সরবরাহের জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স লিমিটেডের পক্ষে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর এবং চায়না দ্য ফিফথ মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কম্পানি লিমিটেডের পক্ষে প্রজেক্ট ম্যানেজার শিন গুয়ানগুই চুক্তি সই করেন। রাজধানীর একটি হোটেলে এই চুক্তি সইয়ের অনুষ্ঠান হয়।
অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, ‘পণ্যের মান ও মানের ধারাবাহিকতা আমাদের মূল শক্তি। বসুন্ধরা সিমেন্ট আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন এবং ভবিষ্যতেও দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে সব মেগাপ্রকল্পে বসুন্ধরা সিমেন্টের অংশীদারি অব্যাহত থাকবে।’
শিন গুয়ানগুই বলেন, ‘বসুন্ধরা সিমেন্টের অনেক সুনাম রয়েছে। মান অনেক ভালো হওয়ার কারণে বাজারের একটি বড় অংশ নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। পদ্মা মূল সেতু ও পদ্মা রেল লিংক প্রকল্পে অনেক আগে থেকেই বসুন্ধরা সিমেন্ট ব্যবহার করা শুরু হয়েছে। আমরা একে অপরের সহযোগিতায় একটি কাজের সূচনা করতে যাচ্ছি, যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।’
বর্তমানে দেশের সব উল্লেখযোগ্য প্রকল্প, যেমন—পদ্মা মূল সেতু, পদ্মা সেতুর নদীশাসন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতু, মেট্রো রেল, ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, পায়রা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র, এস আলম পাওয়ার প্লান্ট, রূপসা রেল সেতুসহ অন্যান্য বৃহৎ স্থাপনায় ব্যবহৃত হচ্ছে বসুন্ধরা সিমেন্ট।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আধুনিক প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ, দেশের অন্যতম বৃহৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ও উন্নতমানের ক্লিংকারে উৎপাদিত, সঠিক মান রক্ষা এবং সর্বোপরি সুষ্ঠু সরবরাহব্যবস্থার প্রতি আস্থা রেখে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে বসুন্ধরা সিমেন্ট ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয় ফিফথ মেজর ব্রিজ। পদ্মা মূল সেতু ও পদ্মা সেতু রেল লিংক প্রকল্পে নিয়োজিত চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কম্পানি শুরু থেকে বসুন্ধরা সিমেন্ট ব্যবহার করে আসছে।
ঢাকায় দ্বিতীয় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হিসেবে এই এক্সপ্রেসওয়ে শাহজাহাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে আব্দুল্লাহপুর, আশুলিয়া, বাইপাইল ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ডিইপিজেড) সঙ্গে সংযুক্ত করবে। মূল উড়ালপথটির দৈর্ঘ্য ২৪ কিলোমিটার। সংযোগ সড়কের সম্মিলিত দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ কিলোমিটার। প্রকল্পে উড়ালপথ ছাড়াও ১৪ কিলোমিটারের বেশি সড়ক নির্মাণ করা হবে।
প্রকল্পের মোট খরচ হবে ১৬ হাজার ৯০১ কোটি টাকা। এর মধ্যে চীন ঋণ হিসেবে ৬৫ শতাংশ খরচ দেবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফিফথ মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রকল্প সচিব ঝউ জিনহুই, চিফ ইঞ্জিনিয়ার ওয়েই হেইজিইয়াং, ম্যাটেরিয়াল ম্যানেজার ইয়ু জিনজি ও ল্যাবরেটরি ডিরেক্টর ইয়াং চাও।
বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন গ্রুপের উপদেষ্টা ময়নাল হোসেন চৌধুরী, ম্যানেজিং ডিরেক্টরের চিফ কো-অর্ডিনেটর ও হেড অব আইটি মোহাম্মদ গোলাম, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (বিআইএইচকিউ-১) এ কে এম মাহবুব-উজ-জামান, চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিমেন্ট সেক্টর) খন্দকার কিংশুক হোসেন, হেড অব ফিন্যান্স (ট্রেজারার) সেক্টর-বি নূরে আলম ছিদ্দিকী, হেড অব ডিভিশন (অ্যাকাউন্টস অপারেশন সিমেন্ট সেক্টর) মোহাম্মদ পিজিরুল আলম খান প্রমুখ।
Source: kalerkantho.com